শিক্ষক নিয়োগে সুবর্ণ সুযোগ: এনটিআরসিএ’র ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে তিন মাসের মধ্যে!

advertise

 বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগের জন্য খুব শিগগিরই ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে! আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি প্রকাশ করা সম্ভব হবে। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে।

NTRCA https://ournarsingdi.blogspot.com/


advertise

জানা গেছে, এই গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ৯৭ হাজার পদ থাকলেও নিয়োগ হয়েছে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার, ফলে প্রায় ৭৭,৫০০ পদ এখনও ফাঁকা রয়ে গেছে। এ বছরের অবসরজনিত কারণে আরও ২০-২৫ হাজার পদ শূন্য হবে, যা এবার পূরণ করার সুযোগ থাকছে।

এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে, কারণ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যা যোগ্য প্রার্থীদের সংকট অনেকটাই দূর করবে।

গত ৩০ অক্টোবর থেকে এনটিআরসিএ অনলাইনে ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য আহ্বান শুরু করেছে। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই তথ্য জমা দেওয়া যাবে, এবং চাহিদা ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৩ নভেম্বর। নতুনত্ব হিসেবে, এইবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী তিন বছরের জন্য সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা জানাতে বলা হয়েছে, যা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত থাকবে।

এনটিআরসিএ এর আগে গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল, যেখানে প্রায় ৯৬,৭৩৬টি পদ শূন্য ছিল—তন্মধ্যে স্কুল-কলেজে ৪৩,২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩,৪৫০টি পদ ছিল। পরে ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে ১৯,৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, শূন্য পদের চাহিদা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক জানিয়েছেন, তারা দ্রুত এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

advertise

২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রদান করে আসছে। তবে ২০১৫ সালের আগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের পর এনটিআরসিএ এই দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ইতিমধ্যেই ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষকের নিয়োগ সুপারিশ করেছে। এবার নতুন প্রার্থীদের জন্যও আসতে যাচ্ছে নিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ!

আপনারা যারা এই সুযোগের অপেক্ষায় আছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সেরা সুযোগ।

advertise
advertise

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন